মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:বরিশালের গৌরনদী উপজেলার গৌরনদী গালর্স স্কুল এ- কলেজের ষষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রী ২রা ফেব্রুয়ারী স্কুল ছাত্রী অপহৃত হয়। ঢাকা থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করে ৩ ফেব্রুয়ারী গৌরনদী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রীর ইজ্জতের মূল্য ধরা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা এবং স্কুল ছাত্রীকে দুদিনের মোধ্য এলাকা ছাড়ার নির্দ্দেশ দিয়েছেন রায় ঘোষনা করে ওই যুবলীগ নেতা। যুবলীগ নেতার এ রায় কার্যকর হওয়ায় এলাকায় তোলপার চলছে।
স্থানীয় ও স্কুল ছাত্রীর পরিবার এবং সালিশ বৈঠক সুত্রে জানা গেছে, গৌরনদী গালর্স স্কুল এ- কলেজের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী উপজেলার উত্তর পালরদী গ্রামে নানার বাড়ি থেকে পড়ালেখা করে আসছিল। ওই ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত একই গ্রামের আকবর বিশ্বাসের পুত্র রাকিব (২২)।
এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর অবিভাবকরা ছেলের অবিভাবকদের জানালে রাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩১ জানুয়ারী স্কুল ছাত্রী প্রাইভেট পরার জন্য নানা বাড়ি থেকে বেড় হলে রাকিব তার যোগীদের নিয়ে স্কুল ছাত্রীকে জোড়পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। গত ২রা ফেব্রুয়ারী স্কুল ছাত্রী ও রাকিবকে ঢাকার রায়ের বাজার এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহযোগীতায় উদ্ধার করে এলাকায় নিয়ে আসা হয়। সালিশ বৈঠক সুত্রে জানা গেছে, ৩ ফেব্রুয়ারী গৌরনদী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমীন হাওলাদারের নিজ বাসভবনে গৌরনদীর কসবা গ্রামে এক সালিশ বৈঠক বসে।
সালিশ বৈঠকে রাকিবের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ২৪ ঘন্টার মধ্যে ছেলে মেয়ে উভয়কে এলাকা ছাড়ার রায় দিয়ে স্টাম্পে ছেলের মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়। জরিমানার টাকা ২৪ ঘন্টার মধ্যে পরিশোধের নির্দ্দেশ দেয়া হয়। সালিশ বৈঠকের পর স্কুল ছাত্রীকে স্কুল বন্ধ করে ঢাকায় তার মায়ের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু রাকিব এখনও এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরছে বেড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা আল আমীন হাওলাদার জানান,সালিশ বৈঠক ও জড়িমানার বিষয়টি সত্য নয় ঊভয় পক্ষ আমার কাছে গেলে বখাটে রাকিবকে সাশানো হয়। স্টাম্পের ব্যাপার হলো ওকে ভয় দেখানো হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে এ রকম কাজ না করে।
এব্যপারে গৌরনদী থানার কর্মকর্তা ইনচর্স (ওসি) মোঃ গোলাম ছরোয়ার বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply